প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠনের (নোয়াব) বিবৃতি নিয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করছে ব‌লে মন্তব‌্য ক‌রে‌ছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক প্রশ্নের জবা‌বে তি‌নি ব‌লেন, ‘নোয়াব তো বলেছে এ আইনের প্রয়োজন নেই। তাদের বিবৃতিতে এটিও বলা আছে যে, যেহেতু প্রেস কাউন্সিল; ডিএফপি আছে সুতরাং এ আইনের কোনো প্রয়োজন নেই।’ ‘আপনারা জানেন, প্রকৃতপক্ষে প্রেস কাউন্সিল এবং ডিএফপি কিন্তু সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিও, অনলাইন গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরি সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে না। টেলিভিশন, রেডিও বা অনলাইনের সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্যও কোনো আইন নেই জানান তি‌নি।

তথ‌্যমন্ত্রী ব‌লেন, সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য এ আইন হলে যখন-তখন গণমাধ্যম থেকে যে ছাঁটাই হয় বা নিয়োগপত্র দেয় না- সেটি করা সম্ভবপর হবে না। তখন বেতন, ভাতা, গ্র্যাচুইটি নিয়ম অনুযায়ী দিতে হবে। ছাঁটাই করলেও সাংবাদিকরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে। ড. হাছান বলেন, ‘মালিকদের একটি পক্ষ সবসময় চায় সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য এ ধরণের আইন না হোক এবং তাদের একটি পক্ষ যে এই আইন চায় না; সেটির বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে নোয়াবের এই বিবৃতি।’ তি‌নি বলেন, ‘সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে আইন করার দাবিটা এসেছিলো এবং সে কারণেই গণমাধ্যমকর্মী আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। মন্ত্রিসভার অনুমোদন, আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং, সংসদে উত্থাপনের পর এখন সংসদীয় কমিটির পরীক্ষাধীন প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইনটি পরিবর্তন-পরিমার্জন করে যাতে সাংবাদিকদের স্বার্থ পুরোপুরি সংরক্ষিত হয়, সেজন্য আমরা একমত।

এ সত্ত্বেও বিভিন্ন মহল থেকে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। কেউ বুঝে বিবৃতি দিচ্ছে। আবার কেউ অন্যরা বিবৃতি দিয়েছে সেজন্য দিচ্ছে। কেউ কেউ এ আইন চায় না সেজন্য বিবৃতি দিচ্ছে।’ ‘আমরা যেখানে আইনটি পরিমার্জন-পরিবর্তনের জন্য একমত, সেখানে কি এসব বিবৃতি আসলে প্রয়োজন আছে?’ প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বরং বিভিন্ন মহল থেকে বিবৃতি দিয়ে এই যে সৌহার্দ্যপূর্ণ অনুকূল পরিবেশ আছে, সেটিকে আসলে নষ্ট করা হচ্ছে।’ এসময় আইনের খসড়া নিয়ে চলমান কাজ সম্পর্কে ড. হাছান মাহমুদ জানান, ‘প্রথমত সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো প্রস্তাবিত আইনের যে ধারাগুলো পরিমার্জন-পরিবর্তন প্রয়োজন, তা নিয়ে একটি লিখিত প্রস্তাব দেবে বলে আমাকে জানিয়েছে। এরপর আমরা মালিকপক্ষের সাথেও আলোচনা করবো। কারণ মালিকরা এটি বাস্তবায়ন করবেন। এরপরে সেটি সংসদীয় কমিটি বিবেচনা করবে, খুব বেশি পরিবর্তন হলে তাদের আইনগত পরামর্শ নিতে হতে পারে। সেটি সংসদীয় কমিটি ভালো বলতে পারবে।